৯৮৬ সালে কতিপয় সৃজনশীল ও উদ্যমী ব্যক্তি ধানুয়াখোলা নামক প্লাবন ভূমিতে প্রায় ১৬ হেক্টর জমির উপর সংঘবদ্ধভাবে মৎস্য চাষের যাত্রা শুরু করেন। এ প্রকল্পের সাফল্য এ অঞ্চলের জনগণকে প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৯৬ সালে পানকৌড়ি ফিসারিজ লিমিটেড প্রথম সুসংগঠিতভাবে প্লাবন ভূমিতে মৎস্যচাষ প্রকল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের ৩৮৭ জন জমির মালিক সংগঠিত হয়ে ১১০ হেক্টর বর্ষা প্লাবিত জমিতে গড়ে তোলা এই প্রকল্প। স্থানীয় সম্পদ ও নিজিস্ব পুজিকে কেন্দ্র করে শেয়ার বিতরণের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। জমির মালিকগণ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে মাছ চাষের পুজি সংগ্রহ করে।
প্লাবন ভূমিতে মৎস চাষের চমৎকার ধারনাটি সমগ্র দাউদকান্দি উপজেলায় ছড়িয়ে পরে। বর্তমানে দাউদকান্দি উপজেলায় ৭৫টি ছোট বড় প্লাবন ভূমি মৎস প্রকল্প রয়েছে। যার আয়তন ৫৯১৯.৭৬ একর । প্লাবন ভূমিতে মৎস চাষের ফলে দাউদকান্দি উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় ৫০৯৩ মেঃ টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। এই এলাকার প্লাবন ভূমিতে উৎপাদিত মাছ দ্বারা মৎস চাষিগণ এলাকার জনগণের মৎস্য চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে একদিকে যেমন অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্য দিকে দারিদ্র বিমচন ও বেকার সমস্যা সমাধানে এই প্রযুক্তি রাখছে এক অসামান্য অবদান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস